স্বদেশ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়া রোববার বলেছে, তারা ওয়াশিংটন ও সিউলের জন্য সতর্কতা হিসেবে একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
তারা বলেছে, ‘আশ্চর্যজনকভাবে’ সফল এই মহড়ার মাধ্যমে ‘মারাত্মক পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণে’ পিয়ংইয়ং ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে।
নেতা কিম জং উন শনিবার (গ্রীনিচ মান সময় ২৩০০ টায়) সকাল ৮টায় ‘হঠাৎ উৎক্ষেপণ মহড়ার’ নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং বিকেলে পিয়ংইয়ং বিমানবন্দর থেকে একটি হোয়াসং-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথম এটির পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। সরকারী কেসিএনএ’র (কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি) রিপোর্টে এ কথা বলা হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা শনিবার ১৭:২২ (গ্রীনিচ মান সময় ০৮২২ টায় ) একটি আইসিবিএম (আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র) উৎক্ষেপণ শনাক্ত করেছে।
জাপান বলেছে, এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে এটি পতিত হওয়ার আগে ৬৬ মিনিটের জন্য উড়েছিল, তাদের বিশ্লেষণে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে যে এটি যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে সক্ষম।
কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্ব এই পরীক্ষাকে স্বাগত জানিয়েছে। সাত সপ্তাহের মধ্যে দেশটির প্রথম এটি ‘আইসিবিএম ইউনিটের প্রকৃত যুদ্ধ ক্ষমতা দেখায় যা মোবাইল বা স্থানান্তরযোগ্য এবং শক্তিশালী পাল্টা আক্রমণের জন্য প্রস্তুত।’
এতে আরো বলা হয়, উৎক্ষেপণটি ছিল দেশটির ‘প্রতিকূল শক্তির ওপর মারাত্মক পারমাণবিক পাল্টা আক্রমণের ক্ষমতা’র ‘প্রকৃত প্রমাণ’।